top of page
Search

মহাকাশের অন্য প্রান্ত থেকে ধেয়ে আসছে রহস্যজনক বেতার-তরঙ্গ, উৎস কোথায়? কৌতূহল বিজ্ঞানীদের

  • Writer: Vision X
    Vision X
  • Jun 11, 2021
  • 2 min read

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মানুষ একা কি না, সেই নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই উঠে এলো এক‌ চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহাকাশের অন্য প্রান্ত থেকে ক্রমাগত ধেয়ে আসা একটি রেডিও সিগন্যালের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। রহস্যজনক ওই সিগন্যাল প্রতি ১৬ দিন অন্তর অন্তর ফিরে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। জানতে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মানুষের মত উন্নত বা উন্নততর কোনও ভিনগ্রহে কোনও জীব রয়েছে কি না। এই নিয়ে বিশ্বে অনেক তত্ত্ব রয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা করেছেন, এখনও করছেন। যদিও, এতদিন পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট উত্তর মেলেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিজ্ঞানীদের মনে নতুন কোরে আশার সঞ্চার করছে। জানা গ্যাছে, কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইন্টেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট -এর আওতাধীন ফাস্ট রেডিও বার্স্ট প্রোজেক্টে কর্মরত বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি লক্ষ্য করেন, পৃথিবী থেকে ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ক্রমাগত রেডিও সিগন্যাল আসছে। ২০১৮ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০শে অক্টোবরের মধ্যে এই নির্দিষ্ট রেডিও সিগন্যাল লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানান, মহাকাশ ভেদ কোরে F R B অর্থাৎ মিলিসেকেন্ড দৈর্ঘ্যের রেডিওতরঙ্গের ঢেউ ধেয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা আরও জানান, তরঙ্গগুলি একটানা চারদিন আসছে। তারপর শুধু ১২ দিনের বিরতি। আবার গোটা প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হচ্ছে। এই ঘটনা এখন বিশ্বের মহাকাশ-বিজ্ঞানীদের ধন্দে ফেলে দিয়েছে। সাধারণভাবে, রেডিও বার্স্ট একবারই আসে। তা বারবার হয় না। কিন্তু, F R B -এর মূল চরিত্রই হোলো উচ্চশক্তিসম্পন্ন ছোট আকারের রেডিও তরঙ্গের বার্স্ট একাধিকবার পাঠানো। আর যখন সেগুলি বারবার ফিরে আসে, তখন একটি ক্লাস্টার অর্থাৎ তরঙ্গের একটি আস্ত ঝাঁক এবং স্পোরাডিক অর্থাৎ এলোমেলো ও প্রচণ্ড বিক্ষিপ্ত আকার ধারণ করে থাকে। F R B -এর উৎস কোথায় তার খোঁজ করতে বহু চেষ্টা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত প্রত্যেক বার্স্ট একটি নতুন জায়গার সন্ধান দিচ্ছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রথম বার্স্টটি যেখান থেকে এসেছিল, সেই 'F R B 121102’- এর ঠিকানা ছিল একটি ছোট ছায়াপথ। ওই ছায়াপথে নক্ষত্র ও ধাতোবো বস্তু রয়েছে। আবার, ‘F R B 180916’ -এর ঠিকানা আমাদের নিজস্ব ‘মিল্কি ওয়ে’ বা আকাশগঙ্গার মতো কোনও চক্রাকৃতি ছায়াপথ। বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক ধারনা, কোনও একটি ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্র বা কোনও বস্তু তার কক্ষপথে দ্রুতগতিতে চক্কর খাচ্ছে। যে কারণে এধরনের তরঙ্গ সেখান্ থেকে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে।

 
 
 

Comments


Post: Blog2_Post

Subscribe Form

Thanks for submitting!

©2021 by Vision X.

  • YouTube
bottom of page